একজন সুস্থ্য প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তির দেহে গড়ে ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে। এ রক্তের অন্যতম উপাদান লোহিত রক্তকণিকার আয়ুষ্কাল ১২০ দিন, শ্বেত রক্ত কণিকার আয়ুষ্কাল ১-১৫ দিন এবং অনুচক্রিকার আয়ুষ্কাল ৫-১০ দিন।ফলে একজন ব্যাক্তি ১২০ দিন পরপর রক্তদান করলে তার দেহের কোন ক্ষতি হবে না। এক্ষেত্রে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ মানুষের ওজন ৫০ কেজি এবং মহিলার ক্ষেত্রে ৪৮ কেজি হলেই সে রক্তদান করতে পারবে।রক্তদানের পর তার শারীরিক বা মানসিক কোনো অসুবিধা হয় না রবং আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে পারায় নির্মল প্রশান্তি লাভ করে।
একটি বেসরকারি সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০১৭ সালে প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। এর মধ্যে ৩০% চাহিদা পূরণ হয় পেশাদার রক্তদাতার মাধ্যমে। অবশিষ্টাংশ পূরণ হয় স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতাদের মাধ্যমে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ৭১তম দেশ, যা নিরাপদে রক্ত সেবা দিতে সক্ষম। ফলে রক্তের অভাবে প্রতিদিন লক্ষলক্ষ মানুষ অকালে প্রাণ হারায়। তাই যুব সমাজকে রক্তদান করে আত্মমানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।
রক্তদান করতে হলে দাতার রক্তে HbsAg, VDRL, TPHA, HCV, HIV, RBS জটিল রোগের জীবাণু পরীক্ষা করা হয়। ফলে দাতা বিনা খরচে নিজে কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত কিনা তা সহজেই জানতে পারে। অপরদিকে মুমূর্ষ ব্যাক্তি রক্ত পেয়ে আরোগ্য লাভ করে।
“অনুসন্ধানী রক্তদান সংস্থা বাংলাদেশ” এমনই একটি সংস্থা যারা রক্তদান কর্মসূচী পালনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে (আগষ্ট’১৭ থেকে আগষ্ট’১৮) এ সংস্থার সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাত্র এক বছরেই ‘এক হাজার’ ব্যাগ এক অধিক রক্ত থ্যালাসেমিয়া, রক্তশূণ্যতা, দূর্ঘটনা আক্রান্ত, সিজারিয়ান অপারেশন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, শল্য চিকিৎসা, কিডনী ডায়ালাইসিস সহ মুমূর্ষ ব্যাক্তিদেরকে রক্তদান করতে সক্ষম হয়েছে।
আমি এই সংস্থার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।
মোঃ সেলিম হোসেন
সহকারি অধ্যাপক
প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ
চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর
ও
উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য
অনুসন্ধানী রক্তদান সংস্থা বাংলাদেশ।